শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন

১৩২টি পাখি শিকার, চুনারুঘাটে ৩ জনের জেল

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর, আহম্মদাবাদ, দেওরগাছ ও চা বাগানসহ প্রায় সব এলাকায় পাখি শিকারীরা নির্বিচারে নানান রকমের পাখি শিকার করে আসছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজার বা চিহ্নিত স্পটে নিয়ে হাঁকডাক দিয়ে দেদারছে এসব পাখি বিক্রি করছে। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে এলাকার জীববৈচিত্র্য।

মূলত এ অঞ্চলে প্রতিবছর শীত মৌসুম শুরুর আগেই অতিথি পাখিসহ নানা প্রজাতির দেশীয় পাখির দেখা মেলে। আর শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পাখিগুলো। অনেক জমিতেই অল্প পরিমাণে পানি থাকায় দু-একটি মাছও থাকে। সেই মাছ খাওয়ার লোভে অতিথি ও দেশীয় প্রজাতির পাখিরা বিভিন্ন খাল-বিলে ভিড় জমান। এই সুযোগেই কিছু লোভী শিকারীরা জাল-দানাদার বিষসহ বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে আসছে প্রতিদিনই।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার চান্দপুর ও চণ্ডিছড়া চা বাগান এলাকা থেকে ১৩২টি জবাই করা অতিথি পাখিসহ তিন শিকারীকে আটক করেছে বন বিভাগ। গতকাল ২৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার পাখিগুলো শিকার করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমতলী এলাকা থেকে বন বিভাগের লোকজন আটক করে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চন্দ্র পাল বন্যপ্রাণী আইনে (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) ২০১২-এর ৩৮ (১) ধারায় পরে সেই তিনজনকে তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলেন—উপজেলার বালিয়ারী গ্রামের রুকু মিয়া (৪৮), একই গ্রামের কাইয়ুম (৪৬) ও আল আমিন (২৬)।

শিকার করা পাখিগুলোর মধ্যে শালিক, কাঠঠোকরা, বুলবুলি, দোয়েল ও ভিমরাজ ইত্যাদি পাখি রয়েছে। এসব পাখি শিকারের পর জবাই করে কলসে ভরে নিয়ে যাচ্ছিল শিকারীরা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে পাখিগুলো গর্ত করে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাস বলেন, ‘শীতের মৌসুমে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসছে। কোনো ভাবেই এদের শিকার কিংবা ধরা যাবে না।’

পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও এসময় জানান তিনি।

সাতছড়ি বিট কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘পাখি শিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com